রাতে চা-কফি খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর?

সংগৃহিত ছবি

অনেকেরই রাতের খাবার খাওয়ার পর এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস তাদের। স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই মনে করেন রাতে চা কিংবা কফি পান করলে ঘুমের সমস্যা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও থাকতে পারে। এই বিষয়ে কী বলেন পুষ্টি বিজ্ঞানীরা?

​গুণের রাজা চা​

এক কাপ চায়ে রয়েছে ১৪ থেকে ১৭ মিলিগ্রাম ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু মুড বুস্ট করতে সাহায্য করে। তাই চা খাওয়ার পরই মন হয়ে ওঠে চনমনে। এছাড়া চা হল একাধিক উপকারী উপাদানের ভাণ্ডার যা কিনা হার্টের অসুখের ফাঁদ কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি নিয়মিত এই পানীয় খেলে হাই ব্লাড প্রেশারের মতো মারণ ব্যাধির ফাঁদও এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত চা পান করতেই পারেন। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

​কফিই সেরা​

চায়ের মতোই কফিও কিন্তু অত্যন্ত উপকারী একটি পানীয়। জানলে অবাক হবেন, ১ কাপ কফি থেকে মিলতে পারে ৯৫ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু আপনার উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, নিয়মিত কফির কাপে চুমুক দিলে হার্ট ডিজিজ থেকে শুরু করে টাইপ ২ ডায়াবিটিস, গলস্টোন, পার্কিনসনস ডিজিজের মতো অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও কমবে। তাই এক কাপ কফি নিয়ে সকালটা শুরু হলে মন্দ হবে না।

​চা, কফি কি রাতে খেতে নেই?​

রাতে চা, কফি এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এইসব পানীয়ে মজুত থাকা ক্যাফিন কিন্তু রাতের ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি বারবার প্রস্রাবের বেগও পেতে পারে। তাই রাতেরবেলা চা বা কফির এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তবে সন্ধেবেলায় অনায়াসে চা-কফি চলতে পারে। এতে অসুবিধার তেমন কিছুই নেই।

দিনে কত কাপ চা কফি খাওয়া উচিত?​

চা ও কফির মতো উপকারী পানীয়ও দিনে ২ থেকে ৩ বারের বেশি খাওয়া উচিত হবে না। কারণ এই কাজটা করলে শরীরে বিপাকের হার বিঘ্নিত হতে পারে। ফলে ক্ষুধার ইচ্ছে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত চা-কফি পান করলে কিন্তু দেহে আয়রন শোষণও হবে না। ফলে অ্যানিমিয়ার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়বে বৈকি!