জেনে নিন দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার উপায়

সংগৃহীত ছবি

আমাদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম ভালো ঘুম অপরিহার্য। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমান তারা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় ১৯% কম কর্মক্ষম।আর যারা পাঁচ ঘণ্টারও কম ঘুমান তাদের কর্মক্ষমতা প্রায় ৩০% কম।

অনেকেই আছেন যাদের ভালো ঘুম হয় না বা রাতে ঘুম আসতে অনেক দেরি হয়। ঘুমের কদর তারাই জানেন যাদের সাধারণত সহজে ঘুম আসে না। তবে কিছু উপায় মেনে চললেই কিন্তু সহজেই দূর করা যায় এই ঘুম না আসার সমস্যা।

সহজে ঘুম আসার একটি ভালো পদ্ধতি হলো সামরিক কায়দায় ঘুমানোর চেষ্টা করা।লাইফস্টাইল বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট অবলম্বনে তুলে ধরা হলো সামরিক কায়দায় ঘুমানোর উপায়-

মার্কিন সামরিক পদ্ধতিতে ঘুমের কৌশল

ক্লান্ত সৈন্যদের যেকোনো সময় ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনী এটি তৈরি করেছে। এই কৌশল ১৯৮১ সালের রিলাক্স অ্যান্ড উইন: চ্যাম্পিয়নশিপ পারফরম্যান্স নামে একটি বই থেকে এসেছে। ফিটনেস কোচ জাস্টিন অগাস্টিন টিকটকে তার ১.৯ মিলিয়ন ফলোয়ারের সঙ্গে এই ঘুমের কৌশলটি কীভাবে করবেন তা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘আমার গবেষণা অনুসারে, এটি মূলত ফাইটার পাইলটদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল যাদের কাজের ক্ষেত্রে শতভাগ মনোযোগ প্রয়োজন। ঘুমের অভাব হলে এই মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, এটি আমাদের সবারই জানা।’

জাস্টিন দাবি করেছেন যে ৯৬ শতাংশ লোক এই কৌশল আয়ত্ত করে তাদের চোখ বন্ধ করার দুই মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে সক্ষম হয়। তিনি কৌশলটি আয়ত্ত করতে ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে অনুশীলন করার পরামর্শ দেন।

১. আপনার শরীরকে শান্ত করুন এবং হাত-পা ছড়িয়ে শিথিল করুন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত আপনার শরীরের প্রতিটি অংশের কার্যক্রম বন্ধ করুন। কপালের পেশী শিথিল করে শুরু করুন। আপনার চোখ, গাল, চোয়াল শিথিল করুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর ফোকাস করুন।

২. এরপর, আপনার ঘাড় এবং কাঁধ শিথিল করুন। জাস্টিন বলেন, ‌‘নিশ্চিত করুন যে আপনার কাঁধে টেনশন নেই। এগুলিকে যতটা সম্ভব ঝেড়ে ফেলুন এবং আপনার হাত, আঙ্গুল ও বাহুগুলো আলগা রাখুন। কল্পনা করুন এই উষ্ণ সংবেদন আপনার মাথা থেকে আপনার আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত যাচ্ছে।’

৩. গভীরভাবে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন, আপনার বুক, পেট, উরু, হাঁটু এবং পায়ের পাতা শিথিল করুন। আবার, কল্পনা করুন যে এই উষ্ণ সংবেদনটি আপনার হৃদয় থেকে আপনার পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত নেমে যাচ্ছে।

৪. যেকোনো চাপ থেকে আপনার মনকে মুক্ত করুন। জাস্টিন দু’টি পরিস্থিতিতে চিন্তা করার পরামর্শ দেন:

আপনি একটি শান্ত হ্রদে একটি ক্যানোতে শুয়ে আছেন যেখানে আপনার উপরে একটি পরিষ্কার নীল আকাশ ছাড়া কিছুই নেই। অথবা
আপনি একটি পিচ কালো ঘরে একটি কালো মখমল হ্যামক পড়ে শুয়ে আছেন।

জাস্টিন বলেন, ‘আপনি যখন অন্য কিছু ভাবতে শুরু করবেন বা বিভ্রান্ত হতে শুরু করেন, তখন এই শব্দগুলো দশ সেকেন্ডের জন্য পুনরাবৃত্তি করুন – ‘মনে করবো না। ভাববো না।’