চুল সাধারণত কালো হয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের কালো চুল ধূসর হতে শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই পাকা চুল অনেকেরই থাকতে পারে। চুল পাকার রহস্য উন্মোচন করতে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির (এনওয়াইইউ) একটি দল গবেষণা চালিয়েছেন ইঁদুরের ওপর
এই তত্ত্ব অনুসারে তারা বলছেন, যে কোষ চুলের রঙ তৈরি করে, তা পরিপক্ব হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে চুল ধূসর হতে শুরু করে।
যখন চুল ছোট করা হয়, এটি সবসময় একটি নিয়মিত চক্রে আবার বৃদ্ধি পায়। মাথার ত্বকের ফলিকল যেখানে নতুন চুল গজায়। মেলানোসাইটস, এই ফলিকলগুলিতে পাওয়া স্টেম সেলগুলির একটি শ্রেণি, চুলের রঙ তৈরির জন্য দায়ী। প্রতিটি চুলের গ্রন্থিতে মেলানোসাইট থাকে, যা কোষ যা মেলানিন তৈরি করে, চুলে পাওয়া রঙ্গক। আর এই কোষগুলো দুটি ভিন্ন ধরনের মেলানিন তৈরি করে, যা ইউমেলানিন ও ফিওমেলানিন নামে পরিচিত।
ইউমেলানিন হলো গাঢ় রঞ্জক। অর্থাৎ এটি যত বেশি থাকবে, চুল তত গাঢ় রঙের হবে। কাজেই ইউমেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকলে চুলের রঙ কালো বা বাদামি হয়। মেলানিন না থাকলে চুল হয় সোনালি রঙের। আর ফিওমেলানিন থাকলে চুলের রঙ হয় লাল।
কিন্তু চুলের রঙ ধূসর হয় কখন? ধূসর চুলের জন্য দায়ীও মেলানিন। ধূসর চুলে মেলানিনের পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে। আর সাদা বা রুপালি চুল বর্ণহীন; অর্থাৎ এ চুলে মেলানিন থাকে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, চুলের রঙ এ রকম ধূসর, রুপালি বা সাদা হওয়ার প্রধান কারণ হলো বার্ধক্য।
গবেষণার জন্য এনওয়াইইউর ল্যাঙ্গোন হেলথ টিম বিশেষ স্ক্যান ও ল্যাব কৌশল ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গবেষক দলের প্রধান ডা. কিউই সান নেচার বলেন, মেলানোসাইট স্টেম সেলগুলো কীভাবে চুলের রঙ তৈরির কাজ করে, সে বিষয়ে তারা প্রাথমিকভাবে কিছু ফল পেয়েছেন। আর তাতে চুল ধূসর হওয়া ঠেকানোর উপায় উদ্ভাবনের সম্ভাবনাও জাগছে।
