তীব্র তাপদাহ খানিকটা কমে এলেও এখনো আবহাওয়ায় যথেষ্ট গরম ভাব রয়েছে। এর প্রভাব কাজকর্মে তো পড়ছেই, ভালোভাবে রাতে ঘুমানোটাও বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু উপায়—
১>> মসলাযুক্ত খাবার খেলেও তা ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে খেতে হবে। এতে করে প্রচুর ঘাম বের হয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাবে। ফলে আপনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন।
২>> ঘুমানোর সময় সুতির পাতলা পোশাক পরুন। আপনার বিছানার চাদর, বালিশের কভার সুতি কাপড়ের তৈরি হলে ভালো হয়।
সকালে শরীরচর্চার করুন নিয়মিত।
৩>> গরমের দিনে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাবেন না। কেননা প্রোটিন হজম হতে গেলে শরীরে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়, ফলে গরম লাগাটাই স্বাভাবিক।
৪>> পানি গরম রাখার ব্যাগে (হট ওয়াটার ব্যাগে) গরম পানির পরিবর্তে ঠান্ডা পানি ভর্তি করে তা আপনার হাঁটু, গোড়ালি, কবজি, ঘাড়, কুঁচকি এবং কনুইয়ে ভালোমতো লাগান। এতে একটু হলেও আরাম পাবেন। আপনি ঠান্ডা পানি ভর্তি হট ওয়াটার ব্যাগ বিছানায় সঙ্গে করে নিয়েও ঘুমাতে পারেন।
৫>> গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কাজ করে ভেজা মোজা। যে মোজাটি পরবেন সেটি আগে থেকেই ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে তারপর পরুন।
দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি যেন ঘরে ঢুকতে না পারে, তার জন্য জানালার পর্দা টেনে দিন। বাড়ির যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে, সেদিকের জানালা বন্ধ রাখুন। রাতে ঘুমানোর সময় জানালা খুলে দিন।
৬>> শোবার ঘরে থাকা সব বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা উত্তাপ তৈরি করে তা বন্ধ রাখুন।
৭>> বড় একটা পাত্রে বরফ রেখে তা টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন। এতে ফ্যানের বাতাস ঠান্ডা হবে।
৮>> গরমের সময় দিনে প্রচুর পানি পান করুন। তবে রাতে বেশি পানি খাবেন না। রাতে ঘুমানোর আগে আধা গ্লাস পানি আপনার সারা রাতের পানির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।
৯>> একা একটি বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এক বিছানায় দুজন বা তার বেশি থাকলে বেশি তাপ উৎপন্ন হয় ফলে গরম লাগে।
বেশি গরম অনুভব করলে মেঝেতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
১০>> ঘুমানোর আগে আপনার হাত ও পায়ের তালু ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। আরাম পাবেন।
১১>> ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরও দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরনের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।