ভালো খেজুর চেনার কিছু সহজ কৌশল

স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে একটি সুপারফুড হিসেবে খেজুর বিবেচিত। খেজুর স্বাদেও যেমন সুস্বাদু, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। রমজানে খেজুরের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়।

ফলে বাজারে এই চাহিদাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর বিক্রি করেন। তাই খেজুর কেনার আগে তাতে কৃত্রিম কোনো উপাদান মেশানো আছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নেবেন।
খেজুর চেনার বেশ কিছু উপায় আছে। চলুন জেনে আসি—

ভালো মানের খেজুরের চামড়া সাধারণত একটু কুঁচকানো হয়, তবে শক্ত নয়। আবার উপরের চামড়াও বেশি নরম হয় না, তবে চকচকে ও উজ্জ্বল হয়। আর যদি খেজুরের গায়ে দানাদার কিছু কিংবা তেল বা পাউডারজাতীয় কিছুর উপস্থিতি দেখেন তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল, মানহীন কিংবা নিম্নমানের খেজুর।

ভালো কিংবা খারাপ বা নিম্ন মানের খেজুর কি না তা যাচাই করার আরও এক উপায় হলো খেজুরে উপস্থিত মিষ্টির মাত্রার স্বাদ নেওয়া। খেজুরের প্রাকৃতিকভাবে থাকা মিষ্টি হয় সহনীয় পর্যায়ের। তাই অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাদের খেজুরে কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকতে পারে।

ভালো খেজুর চেনার আরও এক কৌশল হলো পিঁপড়া ও মাছির উপস্থিতি লক্ষ্য করা। যদি দেখেন খেজুরের সামনে মাছি ও পিঁপড়া ভিড় করছে, তার মানে সেটি ভালো খেজুর না। এটি পরীক্ষা করতে ঘরের কোনো খোলা স্থানে খেজুর রাখুন। তারপর পরীক্ষা করুন।

প্যাকিং করা খেজুর কেনাই সবচেয়ে ভালো। এই খেজুরগুলোর প্যাকেটে সাধারণত মেয়াদ লেখা থাকে। এছাড়া খোলা খেজুর কিনতে হলে খেয়াল রাখতে হবে খেজুরে যেন পচা গন্ধ, পোকা ধরা, বেশি কালচে বা শুকিয়ে যাওয়া না হয়।

খেজুর সাধারণত দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ফ্রিজের নরমালে রাখলে খেজুর সবচেয়ে বেশি ভালো থাকে। খেজুর কেনার আগে কোন দেশেরটা কিনছেন তা জেনে নেওয়া জরুরি। খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে মিশর বিশ্বে প্রথম। এরপর ইরান ও সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়।

বিভিন্ন ধরনের খেজুরের মধ্যে আজওয়া, আনবারা, সাগি বা সুগায়ি, সাফাওয়ি, মুসকানি, মরিয়ম খেজুর অন্যতম। আরও আছে খালাস, ওয়াসালি, বেরহি, শালাবি, ডেইরি, মাবরুম, ওয়ান্নাহ, সেফরি, সুক্কারি, খুদরি ইত্যাদি। এদেশে আজওয়া ও মরিয়ম খেজুরের চাহিদা বেশি।

Scroll to Top