কোন ফলে লুকিয়ে আছে কী গুণাগুণ, কোন রোগের ঔষধ

সবার পছন্দের খাবার ফল। নিয়মিতই আমরা বিভিন্ন ফল খেয়ে থাকি। কিন্তু কোন ফলে কী গুণাগুণ রয়েছে তা হয়তো জানিনা অনেকেই। চলুন জেনে নিই বাহারি ফলের নানান গুণ—

১<> কিডনির অসুস্থতা দূর করতে খেতে পারেন আপেল, কমলা, লেবু, শসা, সেলারি বা পাথুনে শাক, পার্সলে ও বিটরুটের জুস। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কিডনিও ভালো রাখে।

২<> গাজর, বাঁধাকপি ও বিটরুটের জুস খেতে পারেন বদহজম দূর করতে। এগুলো ফাইবারে সমৃদ্ধ যা আপনার হজমে সহায়তা করবে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।

৩<> অনিদ্রা দূর করতে খেতে পারেন আপেল, আঙুর, লেবু, গাজর ও সেলারি বা পাথুনে শাক। হাইড্রেশনে সহায়তার পাশাপাশি এগুলো সবই শরীরকে শিথিলতা দেয়।

৪<> অবসাদ দূর করতে খেতে পারেন গাজর, লেবু, কমলা ও পালংশাকের জুস। এগুলো মিলিয়ে যে পরিমাণ ভিটামিন সি, ফোলেট ও আয়রন পাবেন, তা আপনাকে যথেষ্ট শক্তি এনে দেবে।

৫<> উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খেতে পারেন বিটরুট, ডালিম ও লেবুর জুস। এগুলোর নাইট্রেট হজম প্রক্রিয়ায় নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ।

৬<> আনারস, কমলা, আদা ও রসুনের জুস খেতে পারেন ঠান্ডা-জ্বর হলে। এগুলোর ভিটামিন সি সাহায্য করবে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে। মিলবে স্বস্তি।

৭<> জন্ডিস হলে খেতে পারেন নাশপাতি, আঙুর, গাজর, সেলারি বা পাথুনে শাক, পালংশাক, শসা ও লেবুর জুস। এগুলোতে আছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা লিভার বা যকৃতের জন্য উপকারী।

৮<> মাসিকসংক্রান্ত জটিলতায় শালগম, বিটরুট, আলুবোখারা, চেরি, পালংশাক ও আঙুরের জুস খেতে পারেন। এটা ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়া–সংক্রান্ত জটিলতা থেকেও সুরক্ষিত রাখবে।

৯<> আঙুর, লেবু, গাজর, লেটুস পাতা ও পালংশাক—সবগুলোই ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। মাথা ব্যথা সারাতে এগুলো সরাসরি জুস করে খেতে পারেন।

১০<> অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন সবারই কমবেশি হয়। সে জন্য জুস করে খেতে পারেন আঙুর, কমলা, পাকা লেবু, গাজর ও পালংশাক। অ্যাসিডের মাত্রায় আঙুর ও কমলা ঋণাত্মক, যা অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি বন্ধ করে।

১১<> ডায়াবেটিস সমস্যা থাকলে খেতে পারেন আদা, লেবু, সেলারি বা পার্সলের জুস। এটা ইনসুলিন বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করবে।

১২<> রক্তস্বল্পতায় আপেল, বিটরুট ও গাজরের জুস উপকারে আসবে। এই তিনটিতেই আছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তের লোহিতকণিকা বা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

১৩<> একজিমা ও সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগের প্রতিকারে খেতে পারেন সেলারি শাক, পালংশাক, শসা ও আপেলের জুস। এগুলোতে আছে প্রদাহরোধী ফ্লেভানয়েড, যেগুলো ত্বকের জন্য উপকারী।

১৪<> খুবানি, লেবু, পিচ, গাজর, মুলা ও সেলারি বা পাথুনে শাকের জুস খেতে পারেন অ্যাজমার জন্য। শ্বাসযন্ত্রের কোষের ক্ষত সারাতে খুবানি বিশেষ উপকারী।

১৫<> চোখের সমস্যার জন্য খেতে পারেন খুবানি, টমেটো, পার্সলে, পালংশাক ও সেলারি বা পাথুনে শাকের জুস। বিশেষ করে টমেটোর লাইসোপিন, লিউটিন ও বেটা-ক্যারোটিন চোখের জন্য উপকারী।

১৬<> লিভার বা যকৃতের অসুস্থতায় খেতে পারেন পেঁপে, আঙুর, গাজর, টমেটো, বিট ও শসার জুস। এগুলো ক্যারোটেনয়েডে ভরপুর। এতে পাবেন ক্যারোটিন ও লাইসোপিন, যা লিভার ভালো রাখে।

১৭<> মৃগীরোগ থাকলে খেতে পারেন ডুমুর, লাল আঙুর, গাজর, সেলারি বা পাথুনে শাক ও পালংশাকের জুস। এদের মধ্যে ডুমুর ও লাল আঙুর স্নায়ুর কোষকে ভালো রাখে।