যৌনজীবনের অসন্তুষ্টিতে বাড়ছে নারীদের মাইগ্রেন অ্যাটাক

পুরুষের তুলনায় নারীদের মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথার সমস্যা প্রায় চারগুণ বেশি। বিশেষজ্ঞরা এর নানা কারণ পেয়েছেন। তবে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল সম্প্রতি একটি উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছে। সেটা হলো, যেসব নারী মাইগ্রেনে ভুগছেন, পরবর্তী সময় তাঁদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

মাইগ্রেনের ব্যথা কতটা অসহনীয় ভুক্তভোগীরা বেশ ভালোই জানেন। মাইগ্রেনের সমস্যা হলে মাথার ভেতরে ব্যথা হয়। এই ব্যথা সাধারণত একদিকে হয়, ডান অথবা বাম পাশে। সঙ্গে থাকতে পারে বমি ভাব।

সাধারণ মাথাব্যথার থেকে অনেকটাই আলাদা মাইগ্রেন রোগ। মেয়েদের মধ্যে এই রোগের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। তবে এর পিছনে রয়েছে কয়েকটি বড় কারণ। দেখে নেওয়া যাক কী কী কারণে মেয়েদের মাইগ্রেনের সমস্যা হয়।

বয়ঃসন্ধির সমস্যা: অনেকসময় বয়সন্ধিকালে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সময় শরীরে অনেকরকম পরিবর্তন আসে। শুধু তাই নয়, এই সময় হরমোনের মাত্রাও ওঠানামা করে। তাই মাইগ্রেন হওয়া স্বাভাবিক।

হরমোনের সমস্যা: বিশেষজ্ঞদের কথায়, মেয়েদের হরমোনও মাইগ্রেনের জন্য দায়ী হয়। মেয়েদের প্রধান দুই হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের মাত্রা ঠিক না থাকলে এমনটা হয়। চিকিৎসকদের মতে, ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ওঠানামা করলে এই সমস্যা আরও বেশি হয়।

পিরিয়ড: পিরিয়ড মেয়েদের আরেকটি বড় সমস্যা। এই সময় হরমোনের মাত্রা বেশ ওঠানামা করে। তাই দেখা যায়, পিরিয়ডের আগে অনেকের মাইগ্রেনের ব্যথা বেশ বেড়েছে। আবার পিরিয়ড শেষ হলে এই ব্যথা কমে যায়।

 

যৌনতায় অসুখী: যৌনমিলনে ঠিকমতো সুখ না পেলেও মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই বলছে কন্ডোম সংস্থা ডিউরেক্স ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক সমীক্ষা। বিয়ের পর যৌনজীবন সুখের না হলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে। ভারতে ৭২ শতাংশ মহিলাদের যৌনজীবন সুখের নয়।

অর্গ্যাজম না করা:সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরেকটি তথ্য। ভারতে ৭০ শতাংশ মেয়েরাই অর্গ্যাজম করেন না। এতেই আরও চেপে বসে মাইগ্রেনের সমস্যা। চিকিৎসকদের কথায়, অর্গ্যাজন করলে এন্ডোট্রপিন নামের ভালো হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন মাইগ্রেনের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।