গৃহস্থালি কাজে যারা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করেন, অর্থের খরচ নিশ্চিতভাবেই তাদের বেশি। একটি সিলিন্ডার গ্যাস দিয়ে অনেক পরিবারেই দেখা যায়, পুরো মাস চলছে না। অথচ রান্না না করেও উপায় নেই। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কিছুটা হলেও কমে আসতে পারে। সেই সঙ্গে সামান্য স্বস্তি আসতে পারে সংসারেও।
উপায় সমূহঃ
এক>> পাত্রে ঢাকনা দিয়ে রান্না করতে পারেন, এতে চুলার তাপ কাজে লাগবে। আর তাতে নিশ্চিতভাবে অনেকটা গ্যাস বেঁচে যাবে।
দুই>> সাধারণ পাতিল বা অন্য কিছুর চেয়ে প্রেসার কুকারে গাসের খরচটা বেশ খানিকটা কমে আসে। ফলে গ্যাস সাশ্রয় করতে প্রেসার কুকার একটি সেরা উপায় হতে পারে।
তিন>> রান্না শুরু করার আগে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন, এতে প্রতিদিন কিছুটা হলেও গ্যাস সাশ্রয় হবে। সেক্ষেত্রে রান্নার সব সামগ্রী আগে থেকেই কেটে ধুয়ে রাখতে হবে। তেল-পানির ব্যবস্থাও হাতের কাছে রাখা ভালো। তাতে অন্য সময়ের তুলনায় এক কিংবা দুদিন বেশি চলবে এক সিলিন্ডারে।
চার>> রান্নার পাত্র পরিষ্কার ও শুকনো হলো কিছুটা কম গ্যাস খরচেই দিনের রান্না শেষ করা সম্ভব হবে। তাই পাতিলের তলায় সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তেমনি রান্নার পাত্র যেন শুকনো থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নইলে পাতিলের সঙ্গে লেগে থাকা পানি সরিয়ে পাতিল উত্তপ্ত করতে কিছুটা বাড়তি গ্যাস খরচ হবে।
পাঁচ>> আমাদের কাছে বিদ্যুতের বিলটি এখন পর্যন্ত গ্যাসের বিলের তুলনায় সহনীয়। তাই যে সব রান্নায় বেশি পানি বা ঝোলের প্রয়োজন হয়, সেসব ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক কেতলিতে পানি গরম করে রান্নায় মিশিয়ে দিলে গ্যাসের খরচ কিছুটা সাশ্রয় হবে। একই পন্থা অবলম্বন করা যায় চা তৈরি কিংবা পানি গরম করার ক্ষেত্রেও।
ছয়>> মাইক্রোওয়েভ ওভেন থাকলে সেটি ব্যবহার করেও গ্যাস খরচে কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব খাবার আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা ধরে চুলায় রেখে দিতে হয় সেসব ক্ষেত্রে ওভেন ব্যবহার করে গ্যাস সাশ্রয় করা যায়।
সাত>> বাইরে চুলার পাইপ, রেগুলেটর বা বার্নারে কোনো লিক হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লিক থাকলে গ্যাস বেরিয়ে খরচ যেমন বাড়বে, তেমনি থাকবে বিপদের আশঙ্কাও। ফলে গ্যাসের কোনো ধরনের গন্ধ নাকে লাগলে তা যথাসম্ভব গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করে দেখতে হবে।
সংবাদ সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস