চুলের যত্নে শুধু শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিংবা সিরাম যথেষ্ট নয়। অনেক সময় চুলে এসকল পণ্য ব্যবহারে সাময়িক উন্নতি দেখা দিলেও দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত হয় না। বিশেষত রাসায়নিক উপাদান অনেক ক্ষেত্রে চুলের ক্ষতি করে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করাটাও ভালো কিছু না। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায় কি? অনেক বিশেষজ্ঞের মতামত, সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে মেহেদি লাগানো উচিত। কিন্তু কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক:
ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে
রোজ কর্মব্যস্ত জীবনে ধুলো-বালির কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। চুলকে কোমল এবং মসৃণ রাখতে বিভিন্ন প্রসাধনীর চেয়ে মেহেদি বেশি কার্যকরী। বরং রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। অথচ ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে হেনা তৈরি করে নিলে চুলের মসৃণতা রক্ষা করা যায়। এতে চুলের বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
খুশকি কমায় মেহেদি
মাথায় খুশকির সমস্যা মানেই অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়া। চুল পড়ার সমস্যা কমানোর জন্যেই খুশকি দূর করতে হবে। অনেকে বাজারে প্রাপ্ত অ্যান্টিড্যানড্রফ শ্যাম্পু দিয়ে খুশকি দূরের চেষ্টা করেন। তবুও বর্ষায় কিংবা শীতে খুশকির যন্ত্রণায় টেকা দায়। সেক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে একবার মেহেদি লাগালে খুশকির যন্ত্রণা দূর হবে।
চুলের গোঁড়া মজবুতে
চুলপড়া রোধে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করা জরুরী। শ্যাম্পু বা সিরামের পরিবর্তে মেহেদি লাগালে চুলে পুষ্টি ফিরে আসে। এতে চুল ভেতর থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।