গুড় আমাদের দেশে প্রচলিত ও অত্যন্ত জনপ্রিয়। গ্রামে অনেকেই আছেন যারা খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করেন। মূলত শীতের সময়কালটাতে গুড় তৈরির মুখ্যম সময়। শুধু খেজুরের রস নয়, তালের রস, আখের রস দিয়েও গুড় তৈরি হয়। এই গুড় সাধারণত মিষ্টি, পিঠা, পায়েস জাতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়।
গুড় যে শুধু মজার মজার খাবার তৈরির জন্য তা কিন্তু নয়। গুড়ের রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতাও। গুড় আমাদের শরীর সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। শীতকালে গুড় শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়! গুড়ে আছে আরও একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক গুড় খাওয়ার যত উপকারিতা:
গুড় খাওয়ার উপকারিতা গুলো-
* গুড় শীতকালে শরীরকে সুস্থ রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* গুড়ের বিশেষ উপাদান লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা মানুষকে রোগের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।
* শীতে গুড় অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে শরীরের তাপমাত্রার ভারসম্য ঠিক রাখে। এতে আছে উচ্চ মানের ক্যালোরিফিক, যা শরীর উষ্ণ রাখে এবং শক্তি যোগায়।
* সর্দি-কাশি ও সাধারণ ঠাণ্ডার কারণে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে গুড়। ক্ষতিকর অনুজীব বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
* কফ, গলাব্যথা, ফোলা বা খুসখুস করা দূর করতে সাহায্য করে গুড় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন-কফ, বা বুকে কফ জমাট বাঁধা, রক্ত প্রবাহে সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
* গুড় রক্ত পরিষ্কার করে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
* গুড় শরীর থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান দূর করে পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস ও খাদ্যনালি সুস্থ রাখে।