বুক জ্বালা করা, ঢেকুর ওঠা, বমিভাব, পেটে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, অল্প খেলেই ভরাপেট অনুভূত হওয়া, পিঠে ও বুকে ব্যথা হয় অনেকেরই। বেশ কিছু খাবার থেকে এটা হয়, আবার অনেক সময় না খেয়ে থাকলেও খারাপ লাগে।
উপরোল্লেখিত সমস্যাগুলি হলেই বুঝতে হবে আপনি অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন। আর অ্যাসিডিটির সমস্যার সমাধান কিন্তু ঘরোয়াভাবেই সম্ভব। কিভাবে জেনে নিন –
দারুচিনি
এই মসলাটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে। এটি হজম প্রক্রিয়া ও শোষণক্রিয়া শক্তিশালী করে পাকস্থলীর সমস্যা দূর করবে। পাকস্থলীর নালীগুলোর ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে দারুচিনির চা পান করুন।
জিরা
জিরা বীজ অ্যাসিড প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। হজম প্রক্রিয়ায় সহায়ক এবং পাকস্থলীর ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। ভাজা জিরা গুঁড়া করে ১ গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে অথবা ১ কাপ সেদ্ধ পানিতে ১ চা চামচ জিরা বীজ মিশিয়ে প্রতিবেলা খাবারের পর পান করুন।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা থেঁতো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুফল পাওয়া যায়।
আপেল সাইডার ভিনেগার
১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২ চা চামচ ভিনেগার মেশান। খালি পেটে পান করুন পেটে গ্যাস জমবে না।
আনারস
আনারস প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য ভেঙে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
ঠাণ্ডা দুধ
দুধে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়। অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হলে একগ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন।
পানি
পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট পরে পানি পান করুন, এতে খাবারের পরিপাক ভালো হয়।
পরিমিত খাবার খেতে হবে, কম তেল মশলায় রান্না করার অভ্যেস করাও জরুরি। আর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। কুমড়া, মূলা, পেঁয়াজ, মরিচ, নারিকেল ও গরুর মাংসসহ রিচ ফুড এড়িয়ে চললে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
