জীবদ্দশায় শরীরে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্ক বিশ্রাম নিলেও কখনো বিশ্রাম নেয় না হৃৎপিণ্ড। শরীরের একটি আশ্চর্যজনক অঙ্গ এটি। দিনে অন্তত ১ লাখ বার ও জীবদ্দশায় ২.৫ বিলিয়ন বার রক্ত পাম্প হয়।
বর্তমানে অনিয়মিত জীবনধারণের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এমনকি দিন দিন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু বয়স্করাই নয় বরং হার্ট অ্যাটাকে অকালেও অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন।
এক্ষেত্রে হার্টের ধমনী ব্লক হয়ে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আর এ কারণেই ঘটে হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা। এক্ষেত্রে শরীরে হৃদযন্ত্রে আগাম সতর্কতা সংকেত মেলে। জেনে রাখুন কোন কোন লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয় –
এনজাইনা বুকে ব্যথা
এক্ষেত্রে বুকে, চোয়ালে, ঘাড়ের বাম পাশে বা মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে না পারলে এই ব্যথার সৃষ্টি হয়।
বুকে জ্বালাপোড়া
এই সমস্যাকে অনেকেই গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা ভেবে ভুল করেন। এই লক্ষণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগেও দেখা দিতে পারে। তাই বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা উপেক্ষা করবেন না।
ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা নাও প্রকাশ পেতে পারে। এটি সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম এক লক্ষণ।
বুক ধড়ফড় করা
হৃৎস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে বা কমে যাওয়াও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়। এক্ষেত্রে বিশ্রামরত অবস্থাতেও যদি আপনার হার্টবিট দ্রুত ঘটে তাহলেই সাবধান হয়ে যান।
এসব লক্ষন দেখলে দ্রুত যা করবেন –
যদি কারও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা এসবের পারিবারিক ইতিহাস থাকে তাহলে এসব লক্ষণে সতর্ক হতে হবে। দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হন।
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত তীব্র বুকে ব্যথা, ঘাম, চোয়ালে, পিঠে বা বাঁ হাতে শিহরণসহ অস্থির অনুভূতি থাকে। যদি এমনটি ঘটে তাহলে অবিলম্বে সাহায্যের জন্য জরুরি মেডিকেল হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন।