নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা মানেই দাঁতের যত্ন নয়। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সুষম খাদ্যের একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি ও বি১, আয়োডিন, ফ্লোরিন ইত্যাদি দাঁতের জন্য অপরিহার্য খনিজ ও ভিটামিন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা খাবারগুলো দাঁতের জন্য কম ক্ষতিকর হওয়া উচিত। বিশেষ করে স্ন্যাকস জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি মজবুত করে, এটা সবাই জানি।দুধ, দই, পনির, সয়াবিন, শিমের বিচি, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, বিভিন্ন শাকে ক্যালসিয়াম আছে।
দাঁত ও মাড়ির জন্য ক্ষতিকর খাবার:
১) ক্যান্ডিতে অতিরিক্ত চিনি থাকায় এটা শুধু এনামেলের ক্ষতিই করে না দাঁত ভেঙে যেতে পারে অথবা এনামেল উঠে যেতে পারে।
২) শক্ত বরফ সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে দাঁত ভেঙে যেতে পারে অথবা এনামেল উঠে যেতে পারে।
৩) এসিডিক খাদ্য, যা সাইট্রাস ফুড এনামেল ক্ষয় করে ও মুখের ঘা বেড়ে যায়। তাই বেশি করে পানি খেতে হবে।
৪) কফি ও চা মুখ শুষ্ক করে ও দাঁতে দাগ সৃষ্টি করে। তাই কফি ও চা পান করলে বেশি করে পানি পান করতে হবে।
৫) চিপস জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় দাঁতের ফাঁকে ঢুকে গিয়ে ব্যথার কারণ হতে পারে।
৭) কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস সাধারণত এসিডিক হয় তাই এনামেলের ক্ষয় হতে পারে। তাই সফট ড্রিংকস খাওয়ার পর পানি খেলে দাঁতের জন্য ভালো হয়।
দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী খাবার:
১) ফসফরাস আছে এমন খাদ্য যেমন : মাংস, মুরগি, মাছ, দুধ ও ডিম দাঁত গঠনের সাহায্য করে। কারণ এখানে উন্নত মানের প্রোটিন থাকে।
২) ডেইরি ফুড যেমন: পনির, দই জাতীয় খাবারে চিনি কম থাকে তাই মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য এসব খুব ভালো খাবার।
৩) ফল ও শাকসবজি দাঁত গঠনে খুবই উপকারী। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ পানি ও ফাইবার থাকে, যা চিনি ব্যালেন্স করে। এ ছাড়াও এসব খাবারে থুতু উৎপাদনে সহায়তা করে। এতেও দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার থাকে।
৪) বাদাম জাতীয় খাবারে শর্করার পরিমাণ কম থাকে।