গ্রীষ্মকালীন সময়ে সব রকম মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুম। গ্রীষ্মকালীন সময়ে মিলছে আম, জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য সব ধরনের মিষ্টি ফল। এসব ফলের মধ্যে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল হচ্ছে জাম। জাম নানা দেশে নানা নামে পরিচিত। বড় বিচিত্র সেসব নাম—জাম্বুল, জাম্বু, জাম্বুলা, জামুন, জাম্বোলান, ড্যামসন প্লাম, ডুহাট প্লাম, জাম্বোলান প্লাম, পর্তুগিজ প্লাম ইত্যাদি। এই সময়ে জাম খান না এমন বাঙালি কমই আছে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর আবার খেতেও অনেক সুস্বাদু। জাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ ফল বলা যায়। জাম ফলের পুষ্টিগুণ অনেক দামি ফলকেও হার মানায়। গ্রীষ্মকালীন ফল জাম দেখতে বেশ ছোট। আসুন জেনে নিন জামের অসাধারণ কিছু পুষ্টিগুণ সর্ম্পকে-
১/ জামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’। প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রবণতা বাড়ে, জামে এটি দূর হয়।
২/ ক্যানসারের জীবাণু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ক্ষমতা আছে জামের। বিশেষ করে মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত কার্যকর। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম ও ভিটামিনগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩/ কাশি এবং হাঁপানি রোগ সারাতে তাজা জামের রস অনেক কার্যকরী। এটি ঠান্ডা সমস্যার জন্য অনেক কার্যকরী এবং বিরোধী পক্বতা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৪/ জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি ফল যা সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং ত্বককে মুক্ত রাখে রোগ থেকে।
৫/ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আছে সুখবর। জাম খুবই জনপ্রিয় ডায়াবেটিস চিকিত্সা আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে। রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমায় এই ফল।
৬/ যাঁদের কোনো কিছুই মুখে রোচে না, তাঁরা রুচি ফিরিয়ে আনতে জাম খেতে পারেন। ভ্রমণজনিত বমিভাবও দূর করে এই ফল।
৭/ শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে জামে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন। জাম রক্ত পরিশোধক এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে যা ত্বক এবং সৌন্দর্যের জন্য বেশ ভালো।