বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর মসলা হিসেবে পরিচিত ‘আদা’। এর অনেক গুণ। আদা খাবারে স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়াও কাঁচা আদায় রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা। তাহলে চলুন জেনে নেই আদার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে:-
১) হজমের সমস্যা রোধে:
রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতে আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে এটি বেশ কার্যকর। আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।
২) বমি রোধে:
অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যায়। এমন সময় আপনি যদি আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করেন। তাহলে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন।
৩) ক্ষতস্থান পূরণ করতে:
দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে। পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর।
৪) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।
৫) আদা ক্যান্সাররোধী:
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা।
৬) রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতায়:
আদা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তাদের গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা খুবই উপকারী।
৭) পেটের রোগ নিরাময়ে:
আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।