হার্টের অসুখ প্রতিরোধ করে মাছের ডিম

বাঙালিদের কাছে অতি পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে একটি হলো মাছ। আর এ জন্যই বাঙালিদের বলা হয় ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। মাছের পাশাপাশি মাছের ডিমও অনেকের পছন্দ। এর মধ্যে রয়েছে নানা উপকারী উপাদান, যা শরীরকে সুস্থ রাখে। তাহলে আসুন জেনে নেই মাছের ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো:-

১) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে উন্নতি:

মাছের ডিমে আছে ইপিএ, ডিএইচ ও ডিপিএ (এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড)। এসব উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে।

২) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হ্রাস:

রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হাত, পা, কনুই, হাঁটু, কবজি ও গোড়ালির গাঁটকে প্রভাবিত করে। মাছ ও মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এ অসুখের লক্ষণগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করে।

৩) চোখ ভালো রাখে:

মাছের ডিমে আছে ভিটামিন-এ। এই ভিটামিন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিএইচএ ও ইপিএ শিশুদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে এবং রেটিনার কার্যকারিতাকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ।

৪) অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি:

মাছের ডিমে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো রক্ত পরিষ্কার করে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে খুবই সহায়ক।

৫) হাড় শক্ত করে:

হাড়কে শক্ত করতে, দাঁতকে মজবুত এবং ভালো রাখতে সাহায্য করে মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন-ডি।

৬) হার্টের অসুখ প্রতিরোধ:

হার্টের অসুখ প্রতিরোধেও এ খাবার বেশ উপকারী। এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন-ডি মূলত হার্টকে সুস্থ রাখে।

৭) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:

মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। এছাড়া প্রদাহ হ্রাস করতে সহায়তা করে, যা উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।

Scroll to Top