নিয়মিত শরীরচর্চা করলে কিডনি সুস্থ থাকে

বৃক্ক বা কিডনি মেরুদণ্ডী প্রাণিদেহের এক জোড়া শিমসদৃশ অঙ্গ বিশেষ যা উদরের পিছনের দিকে অবস্থিত, এবং যা মূত্র উৎপাদন ও নিষ্কাশন করে এবং সেই সাথে শরীরের জল ও তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইটের (সোডিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি) ভারসাম্য বজায় রাখে ও অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি হিসাবে কাজ করে। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন।

তবে ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী:-

* শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। তবে পানি কম পান করার মতোই অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পান করলেও কিছু ক্ষেত্রে বিপত্তি হতে পারে। কিডনি বিকল হলে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি পানও বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই দিনে ৮ গ্লাস পানি পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়।

* ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়।

* শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে।

* রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই প্রয়োজনের বেশি ওষুধ খাবেন না। মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

* প্রত্যেকের শরীরের আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। তাই কারোর কিডনির রোগের সম্ভাবনাও বেশি থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এগুলো থাকলে কিডনির ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যারা বেশি মাত্রায় ধূমপান ও মদ্যপান করেন, হার্টের অসুখ রয়েছে বা ওবেসিটির শিকার তাদের এই সমস্যা হয়।

* কিডনির অসুখ সহজে বোঝা যায় না। নীরব ঘাতকের মতো এটি কাজ করে। উপসর্গ বোঝার আগে কিডনির ৯০ শতাংশ খারাপ হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই কিডনির ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। নিয়মিত কিডনির অবস্থা পরীক্ষা করান।

Scroll to Top