সব ধরনের চিকিৎসা শাস্ত্রে রোজ সকালে নিয়ম করে লেবুর পানি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ভিটামিন সি-এর কথাই যদি বলা হয় তাহলে একটি লেবুতে রয়েছে ৩০.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। যদিও আমাদের শরীরে ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদা পরিমাণ পুরুষদের ৯০ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ৭৫ মিলিগ্রাম। যার অনেকটাই লেবু থেকে পাওয়া যেতে পারে।
আর হজমশক্তি বাড়াতে চাইলে প্রথমে আপনাকে শরীরের ভিটামিন সি-র ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এছাড়া একটা জিনিস সবসময় মনে রাখতে হবে যে কখনোই লেবুর সঙ্গে চিনি বা লবণ মেশানো যাবে না। ঘুম থেকে উঠেই যে কিছু না খেয়ে একদম খালি পেটে লেবুর পানি খেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
আপনি খাবার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেও খেতে পারেন লেবুর পানি। আর শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে রোজ সকালে খালিপেটে লেবুর পানি খাওয়ার চল রয়েছে। তবে লেবুর পানির আরও অনেক উপকার রয়েছে। আসুন তবে জেনে নেই লেবুর পানির আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা-
১. হজম শক্তি বাড়ায়:
রোজ লেবুর পানি খান এতে আপনার হজমশক্তি ধীরে ধীরে বাড়বে। গ্যাস-অম্বল দূর হবে। আর এর কারণ, লেবুর পানি পরিপাক নালির মধ্যে থাকা টক্সিন শরীর থেকে বের করে দেয়।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:
লেবুর মধ্যে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। আর এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৩. এনার্জি জোগায়:
লেবুর শরবত খান, ইনস্ট্যান্ট এনার্জি পাবেন। রোজ সকালে যদি লেবুর পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, মেজাজ ভালো থাকবে। কাজে এনার্জি পাবেন।
৪. ওজন কমাতে:
ওজন কমাতে বা মেদ ঝরাতে লেবুর তুলনা নেই। দ্রুত ও দীর্ঘমেয়াদি কাজ দেয়। হালকা গরম পানিতে, লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে আরও ভালো ফল পাবেন।
৫.অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল:
লেবুর মধ্যে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এই দুটি গুণও রয়েছে। ফলে ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এড়াতে লেবুর পানি খেতে পারেন। বিশেষত, ফ্লু, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা হলে।
৬. মস্তিষ্ক সতেজ রাখে:
লেবুর মধ্যে রয়েছে অতিমাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। যা শুধু মস্তিষ্ক নয়, স্নায়ুকেও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। চিন্তাশক্তি বাড়ায়। শারীরিক ধকল ও বিষণ্ণতা কাটাতেও পাতিলেবুর তুলনা নেই।
৭. ক্যানসার প্রতিরোধক:
লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।