ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এটি একটি সামুদ্রিক মাছ, যা ডিম পাড়ার জন্য বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের নদীতে আগমন করে। বাঙালিদের কাছে ইলিশ খুব জনপ্রিয়। তাছাড়া পুষ্টিগুণে ভরা এ মাছ। ইলিশের প্রতি ১০০ গ্রাম রয়েছে প্রায় ২১ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন, উচ্চ পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনে সিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস। চলুন জেনে নেই ইলিশের ৬টি উপকারিতার কথা-
১. হার্ট ভালো রাখে:
হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে চাইলে ইলিশ খান। ইলিশে আছে প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ইলিশে সম্পৃক্ত চর্বি কম থাকে। যার ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।
২. রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়:
রক্তনালির স্বাস্থ্য রক্ষায় ভালো রাখতে ইলিশ মাছ বেশ উপকারী। এতে ইপিএ ও ডিএইচএ নামক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। আর সে কারণেই ইলিশ মাছ খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
৩. ত্বক ভালো রাখে:
ইলিশ মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাট ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর এতে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক নমনীয় রাখতে সাহায্য করে, পড়তে দেয় না বয়সের ছাপ।
৪. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
ইলিশ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ইলিশে থাকা ভিটামিন এ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তি কমে আসার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. খনিজ উপাদান:
ইলিশ আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়ামে ভরপর। থায়রয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখে আয়োডিন, সেলেনিয়াম উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে যা ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ইলিশে থাকা খনিজ, বিশেষ করে ফসফরাস দাঁত এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয়। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও লৌহ স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি উপাদান।
৬. ভিটামিন:
ইলিশ মাছে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। আর ভিটামিন ডি খুব কম খাবারেই মেলে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি শিশুদের রিকেট রোগ থেকে রক্ষা করে।
