অন্তর্বাস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়, তার পরেও এ বিষয়ে আমারা কথা বা আলোচনা করতে লজ্জা পাই। অন্তর্বাস ব্যবহারের ব্যাপারে লজ্জায় লাল না হয়ে কিছু কিছু ব্যাপার জেনে রাখা ভালো। দৈনন্দিন জীবনে যা ছাড়া নারী বা পুরুষ সবাই অসস্তিতে পরতে হয় তা হলো পুরুষের স্যান্ডো গেঞ্জি-বক্সার, অথবা নারীর অন্তর্বাস। তালিকায় পড়ে সবকিছুই। পুরুষেরা তাদের পরিধেয় অন্তর্বাসের ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচেতন হলেও নারীদের মাঝে এই সচেতনতা খুব কম। স্বাস্থ্যের চাইতে নারীরা সৌন্দর্য আর ফ্যাশনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন যা একেবারেই অনুচিত। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বিপদ।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় জাপানে যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি প্রায় ২২ হাজার অন্তর্বাস রাতারাতি বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই অন্তর্বাস ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম, যা নিঃসন্দেহে অনেকেই জানেন না।
১. সিনথেটিক কাপড়ের অন্তর্বাস পরিহার করুন। সুতি বা প্রাকৃতিক তন্ত হতে তৈরি এমন অন্তর্বাস বেছে নিন। অন্তর্বাস কেনার পর ভেতরের ট্যাগগুলো খুলে ফেলে দিন। এতে অনেক আরামদায়ক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
২. অন্তর্বাস যেটাই হোক না কেনো, সেটা ব্যবহার করবেন সঠিক সাইজের। এমনকি গেঞ্জিটাও খুব বেশি ঢিলেঢালা বা টাইট ব্যবহার করবেন না। ভুল মাপের অন্তর্বাস পরিধান করলে যে উদ্দেশ্য আপনি অন্তর্বাস পরেন, সেটিই পূরণ হয় না। গোপন অঙ্গ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট পায় বেশি ঢিলেঢালা হলে এবং বেশি টাইট হলে অধিক চাপে দেহের ক্ষতি হয়। এছাড়া এর ফলে আপনার ওজনটাও বেশি দেখা যায়।
৩. অন্তর্বাসের ফিতা বা অন্য কোন অংশ যদি শরীরের সাথে একদম চেপে বসে থাকে বা ব্যথা পেতে থাকেন আপনি, তবে বুঝবেন অন্তর্বাসটি ভুল সাইজের। সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার না করাই উত্তম।
৪. অন্তর্বাসের ক্ষেত্রে ফেব্রিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভুল ফেব্রিকে আপনি যে কেবল অস্বস্তি বোধ করবেন তাই নয়, এর ফলে আপনার ত্বকেও দেখা দেবে নানান রকম সমস্যা। খুব বেশি মোটা কাপড়ের অন্তর্বাস পরিধান করবেন না। এতে পোশাকটি ভিজে গায়ের সাথে লেপটে থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়া জন্মে ত্বকের নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হবেন আপনি। খুব বেশি পাতলা অন্তর্বাসও পরিধান করবেন না।
৫. ফ্যাশনের চাইতে আরামটাকেই গুরুত্ব দিন অন্তর্বাস বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে। এই পোশাকটি আপনি বলতে গেলে সারাদিনই পরিধান করেন, তাই এটা আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। যেসব দোকানে অন্তর্বাস পরিধান করে কেনার সুযোগ আছে, সেখান থেকে কিনলেই ভালো। তবে হাইজিন ইস্যুতে বেশিরভাগ দোকানেই এই সুযোগটা আপনি পাবেন না। সেক্ষেত্রে আগে কম কিনে দেখুন পোশাকটি আরামদায়ক কিনা।
৬. অন্তর্বাস প্রতিদিন বদলে ফেলুন ও ধুয়ে ফেলুন। যারা খুব বেশি ঘামেন তারা দিনে দুবার বদল করুন। একই অন্তর্বাস পর পর দুদিন পরিধান করবেন না।
৭. রাতের বেলা অন্তর্বাস পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস বাদ দিন। এতে শরীরের তেমন কোনো উপকার হয় না। বরং অন্তর্বাস ছাড়া রাতে ঘুমালে শরীর আরাম পায়।
৮. যত বড় স্টোর থেকেই অন্তর্বাস কিনুন না কেন, কখনোই না ধুয়ে পরিধান করবেন না। অবশ্যই দোকান থেকে কেনার পর ভালো করে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন।
৯. একই অন্তর্বাস বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। একটি অন্তর্বাস ৬ মাসের বেশি ব্যবহার না করাই উত্তম।
১০. প্রতিবার অন্তর্বাস ধোয়ার পর জীবাণুনাশক দ্রব্যে ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিন। ডেটল বা অন্য যে কোন জীবাণুনাশক পণ্য ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, ১১ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল