কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের করা নীতিমালা বৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা ও এর সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ করা হয়। ওই রুলের ওপর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। এক রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। অ্যামিকাসকিউরি ছিলেন অ্যাডভোকেট ফিদা এম কামাল।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেজন্য সরকার ২০১৮ সালে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এ নোটিশ দেয় সরকার।
এসব নোটিশ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আদালত ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। ওই আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ২৭ জানুয়ারি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস