সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কূটক্তিমূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগের মামলায় জামিন পেলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।একই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া সনাতন উল্লাস। বিচারক আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। ওই দিন এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে বুধবার একই আদালত এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিচারিক আদালতে মামলাটি বদলি হয়ে আসার পর বুধবার মামলাটিতে বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আদালতে হাজির হতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু আসামিপক্ষ আদালতে হাজির হননি এবং কোনো ধরনের পদক্ষেপও গ্রহণ করেননি। মামলার ধার্য তারিখে তারা উপস্থিত না হওয়ায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে বিচারক আগামী ২৬ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ৩১ মে ছাত্রলীগ গোলাম রাব্বানী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৮ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মানহানিকর স্লোগান দেওয়া হয়। যা প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের জন্য মানহানিকর। ওই সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার এবং সনাতন উল্লাস নেতৃত্ব দেন।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণের আন্দোলনের সূচনায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে এর আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন ইমরান।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের মশাল মিছিল থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। স্লোগানের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। গত ২৯ মে রাতে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে শাহবাগে ইমরান সরকারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে