১৫ বছর আগের সুনামগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদ্দুজামান শিপলু হত্যার দায়ে তাহিরপুর থানার সাবেক ওসিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
.
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রণয় কুমার দাশ এ রায় দেন। এছাড়া অভিযুক্ত ছয়জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচ বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মী এবং একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত শরিফ উদ্দিনসহ সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ২০ মার্চ তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বাসিন্ধা ও বাদাঘাট কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ওয়াহিদ্দুজামান শিপলু নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এর তিনদিন পর ২৩ মার্চ শিপলুর মা আমিরুন নেছা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি কবির রুমেন বলেন, আদালত মামলটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত হওয়ার পর ওসি শরিফ উদ্দিন ও উপ-পরিদশক রফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানান পিপি কবির। তিনি বলেন, ওসি ছাড়া অন্য আসামিদের খালাস দেওয়ায় আমরা সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক বলেন, আমরা মামলার রায়ে খুশি, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। আদালত সাত আসামির মধ্যে ছয়জনকেই খালাস দিয়েছে।
মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান কামরুল, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী, বিএনপিকর্মী শাহীন মিয়া, কর্মী শাহজান মিয়া এবং তাহিরপুর থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ