সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মানহানির পাঁচ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত চারটি এবং অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন একটি মামলায় খালাস দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর করা মানহানির মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি, ভুয়া জন্মদিন পালনসহ বিভিন্ন অভিযোগের পাঁচ মামলায় আজ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হয়।
এই পাঁচ মামলার মধ্যে একটিতে মানচিত্র, পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতির অভিযোগ করা হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ৭-এ মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল আইনজীবীরা এ মামলায় তাঁর জামিন চান। ১৭ মে আদালত তৃতীয় দফায় সময় পিছিয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। সেদিন জামিন নাকচ করেন ঢাকার একটি আদালত।
অপরদিকে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২২এ মামলা করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরেকটি মামলায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে করা হয়। মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লাখ শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এসব ঘটনায় ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন।