কা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মৃত্যুঞ্জয় এনটিভি অনলাইনকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, এ ঘটনায় আমরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের এ মমালায় সংযুক্ত করা হবে।
মামলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) এক শিক্ষক এবং তিন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষক শাহরিয়ার অর্নব, শিক্ষার্থী পলজয়, সহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে হামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণার পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢামেক সভাকক্ষে এই আলোচনা শুরু হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল ও ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের সঙ্গে আলোচনায় আছেন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমও বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পৌঁছেছেন। তিনি পরিচালকের কার্যালয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করছেন। চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মানা যায় না। তিনি দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।
গতকাল শনিবার রাতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আজ রোববার ঢাকা মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেন ঢামেক নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ। দুপুরে প্রশাসনিক ব্লকে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। জানা যায়, তারা চার দফা দিয়েছেন।
পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরইমধ্যে বিজিবি সদর দপ্তর জানিয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।