বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত না হওয়ার কারণে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন আদালত।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তবে তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দিয়েছেন। আর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া।
এর আগে গত ১৪ মে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আব্দুল বাকী নামে এক সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।
আসামিদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক। এছাড়া এ মামলায় আসামি করা অন্য তিন আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা গেছেন। এ কারণে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তাদের।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে এ মামলায় বিএনপির এ নেত্রীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। ওই সময় অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।