ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের আলোচিত কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নিপু সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক কিউএম নাছির উদদীন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নিপু এতদিন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।’
এর আগে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচরের টিবি গেইট এলাকায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপি’র বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার আগে ও পরে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা অধরা ছিলেন।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ হিরণ মাহমুদ নিপুকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিপু সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে হাইকোর্ট থেকে গত ৩ মার্চ থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন আসামি কাউন্সিলর নিপু। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।ফলে আদালত তার বিরুদ্ধে আবারো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।