সরকারি চাকরিতে কোটা বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া রায় গতকাল (বুধবার) এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা করেছেন আপিল বিভাগ। তবে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা বলেছেন, এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে আমরা রাজপথে থাকব।
আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, কোটা নিয়ে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে পরামর্শ দিন, তারা কেন নির্বাহী বিভাগের কথা বলে? নির্বাহী বিভাগের যে কোনও সিদ্ধান্ত তো আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কোটা আন্দোলনকারীদের জন্য আদালতের দরজা সবসময় খোলা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের নেতাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা কোনো ‘ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানতেছি না’।
তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি ‘সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম (সর্বোচ্চ ৫শতাংশ) কোটা রেখে সকল ধরনের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে।’