সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানকে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।
‘বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের দুর্নীতি পাহাড় সমান’ শিরোনামে গত ১৮ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মন্ত্রণালয়ে পৌরসভার ৭ জন কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও বেশ কয়েকটি দুর্নীতির ফিরিস্তি ধরে এনে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে- পৌর পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা তার নিজ বাসভবনে করা, শহর সমন্বয় (টিএলসিসি) কমিটির সভা না করা, মাসিক সভার কার্যবিবরণীর কপি কাউন্সিলরদের না দেওয়া, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড ফিল্ড) স্থাপনা না করে শহরের প্রাণকেন্দ্র প্রবাসী চত্বরের পাশে জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ডাম্পিং করা, বিশ্বনাথবাসীর প্রাণ বলে খ্যাত বাসিয়া নদী পরিষ্কার না করে সেখানেও ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করা সংক্রান্ত আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক অনুমতি ব্যতিরেকে গত ২৪ জুন যুক্তরাজ্য গমন করেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর ধারা ৩২(১) অনুযায়ী মুহিবুর রহমানকে মেয়রের পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১০টি দফতরে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে ৭ জন কাউন্সিলর মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত এ অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন প্যানেল মেয়র-১ রফি মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাবিনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাসনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লাকি বেগম, কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, জহুর আলী ও শামীম আহমদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুহিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।