ব্যাংকের অর্থায়নে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানির অর্থায়নে প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে নিজস্ব অর্থায়নে চিকিৎসা ও হজ পালনের জন্য বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন-
নিজস্ব অর্থায়নে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে, পবিত্র হজ পালন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা সাপেক্ষে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ;
ব্যাংকে কর্মরত বিদেশী নাগরিকের নিজ দেশে গমন; বিদেশী ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে গমন;
বিদেশ প্রতিসংগী ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসায়িক সভায় অংশগ্রহণসহ দাফতরিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে- এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ; বিদেশী আয়োজক সংস্থার সম্পূর্ণ অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ/সেমিনার/ওয়ার্কশপ/স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ।
এই নির্দেশনার ফলে সরকারি অর্থায়নে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশ ভ্রমণ, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নিজ ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে কর্মকর্তারা হজে যেতে পারবেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকা সাপেক্ষে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণের জন্যও বিদেশ যেতে পারবেন।
জানা গেছে, ডলার সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালে এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে ব্যাংকারদের ‘ব্যক্তিগত’ বিদেশ যাত্রাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর কিছুদিন পর অবশ্য বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও বিদেশযাত্রায় এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসে।
রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও ডলারের সংকট নিরসনে বিলাসপণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারই অংশ হিসেবে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যায়।