জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর সম্পৃক্ততার সত্যতা মিলেছে।
আজ রোববার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, দ্বীন ইসলাম ও রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে গ্রেপ্তারের পর কুমিল্লার কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার তথ্য পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, নানা ঘটনা প্রবাহে অবন্তিকা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো বলেও প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য মিলেছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল বলেও জানায় পুলিশ।
এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের দায় অস্বীকার করেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করার কথা জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি পাওয়া দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছেন তিনি।
শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে যান তিনি।