সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার কারণ দর্শাতে আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের একজন সচিব ও আইজি প্রিজন্স।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় আইজি প্রিজন্স ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবকে তলব করেন আপিল বিভাগ। তারা হলেন– আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া নয়টার দিকে তারা আপিল বিভাগে প্রবেশ করেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল। বিবাদীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম।
পরে ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, গত বছরের ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের রায়ে ছয় জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়ার নির্দেশ দেন। এ ছয় জন হলেন– মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও মো. নুরুননবী ভূঁইয়া।
দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর পদোন্নতির রায় বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের দুই সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ।
আইনজীবী জানান, দুই সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানিতে বিবাদীদের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আবেদনকারীদের পদোন্নতি দেওয়ার সুযোগ নেই। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তাদের তলব করেন।