নাশকতার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত বহাল রেখেছেন।
হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আজ রোববার ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে মামুনুল হকের দুই মামলায় জামিন বহাল হয়।
মামুনুল হকের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় করা দুই মামলায় ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে চালানো নাশকতার ঘটনায় ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা পাঁচ মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে ১৩টি এবং হাইকোর্টে ৫ মামলায় জামিন পান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী।