প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফের সিএমএম কোর্টে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে এ আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে একই মামলায় গতকাল শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাজধানীর রমনা থানায় করা এ মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সাংবাদিক শামসকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়া পর্যন্ত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে জেলহাজতে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক আবু আনসার।
অপরদিকে শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির ওইদিন বিষয়টি জানান। এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়। ওই সময় পুলিশ জানিয়েছিল, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে কোনো রিমান্ড আবেদন করা হবে না।
তারও আগে ‘উদ্দেশ্যমূলক ও নেতিবাচক‘ সংবাদ প্রকাশের দায়ে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। ২৯ মার্চ গভীর রাতে মামলাটি করেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনছারকে। এ অভিযোগে তেজগাঁও থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে।