বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের নেওয়া পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনটির মাধ্যমে দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ এবং বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া এই তথ্য হাইকোর্টকে জানানো হবে।
প্রতিবেদনটিতে দুদক বলছে, তারা (দুদক) বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং অডিট ফার্মগুলোর সংশ্লিষ্টতাও খতিয়ে দেখছে। যদি কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে অর্থ আত্মসাৎ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
দুদক আরও জানিয়েছে, ৩৭০০ কোটি টাকা লোপাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ গভর্নরসহ কর্মকর্তারা জড়িত ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পিকে হালদারসহ অর্থপাচারের ৩৪টি মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আজ দুদকের আইনজীবী এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে ‘অবৈধভাবে’ জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে মোট ৩ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইএলএফএসএল থেকে শুধু ভারতে কারাবন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেই নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।