রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনের মামলায় আদালত জি কে শামীমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত সাত দেহরক্ষী হলেন মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জি কে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়াকারবারি বলে উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স পেয়েছেন জানিয়ে নথি দেখালেও তার সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এস এম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগ দেন।
পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে আসামি জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় কিনে জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন।
এ ছাড়া অন্যান্য আসামিরা নিরাপত্তার অজুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
