মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আদালত ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ৪টায় এ রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
এ মামলা থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যসহ সাতজনকে। তারা হলেন- বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে এসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর মামলা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন। এরপর অপরাধের পর্যবেক্ষণ বয়ান শুরু করেন। মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিভিন্ন ইস্যু ও খুঁটিনাটি বিষয় খোঁজার চেষ্টা করেছি। এতে এপিবিএনের তিন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এ তিন জনই প্রথমে সিনহার গাড়িটি আটকানোর পর ছেড়ে দেন। পরে পুলিশ পুনরায় গাড়িটি আটকালো এবং ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে গুলি করা হয়। এতে প্রমাণিত হয় সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
এর আগে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত বিতর্কিত বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিদের আদালতে আনা হয়। দুপুর ২টায় প্রিজনভ্যান থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে তাদের নামানো হয়। রায় কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।