ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চার্জগঠন করেছে। সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন আজ বুধবার আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এই চার্জগঠনের আদেশ দেন।
আসামিকে শুনানিকালে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর নজরুল ইসলামী শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বি শুনানি করেন। তিনি জানান, মামলাটি গাজীপুরের গাছা থানার। মামলার এজাহারে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। ওই ঘটনায় একই বছর ৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। যেখানে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য-উপাত্ত ইলেকট্রনিকস বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত বছর ২৫ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। রফিকুল ইসলাম মাদানীও অংশ নেন। ওই দিন তাকে আটক করে পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। পরে ওই বছর ৭ এপ্রিল ভোরে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)। এরপর গাজীপুর ও ময়মনসিংহ থানার মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকায় দায়ের করা মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।