আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে রাজধানীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক আজ বুধবার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এ নিয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীর চার মামলার মধ্যে চারটিতেই জামিন পেলেন। এর ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এদিন আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মাদক, বিশেষ ক্ষমতা ও পল্লবী থানায় প্রতারণার আইনে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত। তার আগে পল্লবী থানায় দায়ের করা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১৭ আগস্ট জামিন পান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাত ৮টার দিকে গুলশান-২ এ হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের পর তার প্রতিষ্ঠান জয়যাত্রা টেলিভিশন কার্যালয়েও অভিযান চালায় র্যাব।
ওই অভিযানের পর র্যাব জানায়, জয়যাত্রা টেলিভিশন কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলতো। হেলেনা জাহাঙ্গীর তার জয়যাত্রা টেলিভিশনের জন্য সারা দেশে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন। প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগের নামে তিনি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৩০ জুলাই।
জুলাই মাসে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই পোস্টার ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে কয়েক দফায় তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।