ওয়াজ মাহফিলে ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর (২৭) গাজীপুরের বাসন থানা ও রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা দুই মামলায় জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা ছিলেন মাদানীর পক্ষে আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল মাদানীকে র্যাব তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে। পরের দিন র্যাব তাকে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। গাজীপুরের পর ঢাকার মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। ৮ এপ্রিল মামলাটি করেন আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি।
এরপর মাদানীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হয় গাজীপুরের বাসন থানায়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এর মধ্যে গাজীপুরের গাছা থানায় করা র্যাবের মামলায় গত ১৫ এপ্রিল মাদানীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুরে করেন গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।