কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মি ব্যবসায়ী রাকিব হাসানকে তালাক দেননি। এমনকি তামিমা লিগ্যালভাবে রাকিবকে তালাকের কোনো নোটিশও পাঠাননি। বরং জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। তাই যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক সম্পন্ন না হওয়ায় তামিমা এখনো রাকিবের স্ত্রী বহাল রয়েছেন। এমনটাই প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এ বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন।
দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী, এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে মামলা করেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।