তালিকা পেলে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যবস্থা নেবে বিটিআরসি

সব নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা দেওয়া হয়নি। তালিকা পেলেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বিটিআরসি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য দুই সপ্তাহের সময় চায়। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রিট পিটিশনে সংযুক্ত থাকা নিবন্ধিত ৯২টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাদে সকল অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত।

আদেশে বলা হয়, রিট পিটিশনে সংযুক্ত (এনেক্সার বি) উল্লেখিত নিউজ পোর্টালসমূহ (৯২টি) যদি অনৈতিক, মানহানিকর ও গুজব সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করে, তাহলে বিবাদীরা উক্ত নিউজ পোর্টালসমূহকেও বন্ধ করতে পারবেন। ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু।

গত ১৬ আগস্ট অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং নিবন্ধনের জন্য বিবেচনাধীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এছাড়া রুলে প্রেস কাউন্সিল আইন ১৯৭৪ এর ১১(২)(খ) অনুযায়ী কার্যকর ও উপযুক্ত একটি নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। পত্রিকা ও অন্যান্য সংবাদ সংস্থা, সাংবাদিকদের উচ্চ মানসম্পন্ন পেশাদারত্বের জন্য একটি নৈতিক আচরণবিধি করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান আদালত। আর ন্যাশনাল ব্রডকাস্ট পলিসি-২০১৪ অনুযায়ী একটি ‘ব্রডকাস্টিং কমিশন’ গঠনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।