গত ৪ আগস্ট ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে রাজধানীর বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করে র্যাব। পরের দিন মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। আটকের দিন থেকে তিনি এক পোশাকেই রয়েছেন। ডিবি কিংবা সিআইডি কেউই তার জন্য পোশাক গ্রহণ করেনি। তাই বারবার তাকে একই পোশাকে আদালতে আসতে হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার পরীমনির রিমান্ড শুনানিতে আদালতে এ কথা জানান তার আইনজীবী।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি শুনানি শেষে বলেন, \”পরীমনি যেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেদিন যে পোশাকে ছিলেন আজ পর্যন্ত সেই একই পোশাকে আছেন। পরিবারের লোকজন পোশাক নিয়ে গেলেও দেখা করা বা পোশক গ্রহণ কোনোটাই করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ পরীমনিকে আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেয়নি। তাই আজ একই কাপড়ে আবার বিজ্ঞ আদালতে এসেছেন এই অভিনেত্রী।\”
বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পরীমনিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে হাজির করা হয় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকেও। প্রথমে পরীকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তাকে আদালতে তোলা হয়।
শুনানি শেষে আদালত মাদক মামলায় পরীমনির ফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই মামলায় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও ২ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আজ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত থেকে বের হওয়ার সময় পরীমনি চিৎকার করে বলেন, \”আমি নির্দোষ, আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।\” এরপরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের গারদখানায়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেল থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। ওই সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দপ্তরে। রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমনিকে। পরের দিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা দায়েরের পর সেদিনই তাকে আদালতে নেওয়া হয়।