আমাকে হেনস্তা ও অসম্মান করার প্রতিকার কোথায় পাবো? আদালতে খালেদা

জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বকশিবাজারে অস্থায়ী আদালতের বিচারক মো. আকতারুজ্জামান তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে বিশেষ আদালতে পৌঁছে দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি প্রথমেই প্রশ্ন তোলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচার কাজ যেখানে করা হয়েছে সেখানে আমার মামলার বিচার কেন করা হচ্ছে কেন?

খালেদা জিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলো অন্য আদালতে বিচারাধীন হলেও এ দুটি মামলা এখানে আনা হল কেন? এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য হলো বিচারের নামে আমাকে জনসমক্ষে হেনস্তা ও অপমান করা। তিনি বলেন, এটা থেকেই প্রমাণিত হয়, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদালতের ওফর প্রভাব বিস্তার করে আমার মামলার কাজ এখানে চালাচ্ছে।

এ ধরনের আচরণকে স্বাধীন বিচারের অন্তরায় উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাকে এভাবে হেনস্তা ও অসম্মান করার প্রতিকার কোথায় পাবো?

নিম্ন আদালতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিচারকরা যথাযথভাবে বিচার করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বকশীবাজার কোর্ট ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীনের শাসনামলের কোর্টের মত। মামলার রায় কী হবে তা ক্ষমতাসীনরা প্রকাশ্যে ‘ডিকটেট’ (প্রভাব বিস্তার) করছে।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সাথে সরকারে বিরোধ প্রকাশ্য হয়েছে। এসময় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বক্তব্য উদ্ধৃত করে খালেদা বলেন, বিচার বিভাগের হাত পা বাঁধা। আর এ কারণে আমাদের মামলায় ন্যায়বিচার হবে কিনা তা নিয়ে মানুষের মনে সংশয় আছে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় বিচারের নামে হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর   ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস

Scroll to Top