কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে গৃহবধূ রুবা আক্তার হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। নিহত গৃহবধূ রুবা আক্তার ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া এলাকার মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া মোড়লপাড়া গ্রামে আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. শামীমের সঙ্গে দাদা-দাদীর অসিয়তে বিবাহ হয় একই গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকীর মেয়ে রুবা আক্তারের। প্রথমে স্বামী শামীম এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না। পরে শামীমের দাদা-দাদীর অসিয়ত রক্ষায় রুবাকে বিবাহ করেন শামীম। বিয়ের আনুমানিক ১৫ দিন পর একই বছরের জুন মাসে রুবার নিখোঁজের খবর পায় বড় ভাই আলামিন। খবর পেয়ে রুবাকে খোঁজতে শামীমদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে রুবাকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। রাত পৌনে দুইটার দিকে শামীমের বাড়ির পাশের ডোবায় শামীমের চাচাতো ভাই লুৎতু, শরীফ ও চাচা সোরাব রুবার লাশ দেখতে পেয়ে লাশ উদ্ধার করে শামীমের বাড়িতে নিয়ে আসে।
উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পরের দিন নিহত গৃহবধূ রুবা আক্তারের বড় ভাই মো. আলামিন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ৬ জনের নামে অভিযোগ দাখিল করেন আদালতে।