বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি আবারও পেছানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ২২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজুরুল ইসলাম পরবর্তী শুনানির এ দিন ঠিক করেন।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও হান্নান ভূইয়া আদালতে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী হান্নান ভূইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক (মৃত), একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। মৃতদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।