সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় এ মামলার প্রধান আসামি সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে তার পক্ষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। নিহত সিনহার বোনের করা মামলাটি বর্তমানে র্যাব তদন্ত করছে। র্যাবের তদন্ত যখন প্রায় শেষপর্যায়ে, আসামিপক্ষে তখন মামলাটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ মামলা করা হলো। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতের নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফরহান শাহরিয়ার বলেন, গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে যে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন, সেই মামলার আদেশের বিরুদ্ধে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিভিশন মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কেননা সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই আরও দুটি মামলা দায়ের করেছিল। তিনি আরও বলেন, সিনহার বোনের মামলাটির পুরো বিচার প্রক্রিয়া আইনের ২০৫ ডি সেকশনকে অনুসরণ করা হচ্ছে না। ফলে সিনহা হত্যাকান্ডে সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। গত ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়। ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাস এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকতসহ পুলিশের ৭ সদস্য। পরে র্যাব এপিবিএনের ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষী এবং সর্বশেষ পুলিশের এক কনস্টেবলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে। শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।