রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
গত ১০ আগস্ট সাহেদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। সাতদিনের রিমান্ডের চারদিন শেষে গত ২০ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে সাতদিনের রিমান্ড শেষ করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক। একইসঙ্গে রিমান্ড শেষ না করে আদালতে হাজির করায় তদন্ত কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করা হয়।
এরপর রোববার সাতদিনের রিমান্ড শেষ করে তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ জুলাই দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও তার ছেলে বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক চিশতি৷
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান কর্পোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদা-আসলসহ ১৫/৭/২০২০ তারিখের স্থিতি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।