সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা বাস্তবায়নে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বন ও পরিবেশ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ অগাস্ট পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রবিবার এ আদেশ দেন। পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আনিকা আলী এবং মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছারের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। রবিবার আদালতে রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
এরআগে গত ১২ জুলাই এ বিষয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠান ওই দুই আইনজীবী। নোটিশে চিকিৎসা বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি-বিধান পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন চাওয়া হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। কিন্তু এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ায় ১৪ জুলাই রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে পরিবেশ ও বন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক, ঢাকার দুই সিটি মেয়রসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সারা দেশে হাজার হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন ২০ টনের বেশি চিকিৎসা বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে অন্যান্য বর্জ্যের মত চিকিৎসা বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও অস্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ দূষণ ঘটছে।
বিশেষ করে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। একটি ভাইরাস মানব শরীর অথবা প্রাণীর শরীরে প্রবেশ করলে দশ হাজার পর্যন্ত নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে। একারণে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।