মহামারী করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জালজালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরীকে গতকাল বুধবার চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। একই মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আরিফুলের স্ত্রী সাবরিনা চৌধুরীর গতকাল ডিবি কার্যালয়ে রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে।
কারাগারে আটক আরিফুলকে ডিবি সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপরই গতকাল সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ আরিফুল হককে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেপ্তারের পর আরিফুল হক চৌধুরী প্রতারণার জন্য তাঁর স্ত্রী সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানের চারজনকে দায়ী করেন। আর সাবরিনা সব জালজালিয়াতির জন্য তাঁর স্বামীকে দুষছেন।
মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা গতকাল বলেন, সাবরিনা প্রতারণার জন্য তাঁর স্বামী আরিফুলকে দায়ী করে অনেক তথ্য দিয়েছেন। সাবরিনার সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরিফুলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে প্রতারণায় কার কী ভূমিকা ছিল, সব বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ডিবির ওই কর্মকর্তা জানান, সাবরিনা আরেকজনের নিবন্ধন করা সিম দিয়ে প্রতারণায় জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে খুদে বার্তা বিনিময় করতেন। এসব তথ্য এখন ডিবির হাতে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সাবরিনা দাবি করেন, তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার। অস্ত্রোপচার করায় যন্ত্রে তাঁর আঙুলের ছাপ নিচ্ছিল না। তাই তিনি তাঁর গড়িচালককে দিয়ে সিম কিনিয়ে তা ব্যবহার করেছিলেন। অবশ্য বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন ডিবির কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা।